ঢাকা , শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫ , ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​২০২৫ হবে বিচার বিভাগের নবযাত্রার বছর: প্রধান বিচারপতি

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৯:৩১:২২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ৩১-১২-২০২৪ ০৯:৩১:২২ অপরাহ্ন
​২০২৫ হবে বিচার বিভাগের নবযাত্রার বছর: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নে নেওয়া পদক্ষেপসমূহের মাধ্যমে ২০২৫ সাল হবে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের জন্য ‘নবযাত্রার একটি বছর’। এ বছরেই বাংলাদেশের বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগ থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রভাবমুক্ত হয়ে প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতার সুফল ভোগ করবে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের একটি স্বাধীন অঙ্গ হিসেবে জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সক্ষম হবে বিচার বিভাগ। 

ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে দেওয়া এক বার্তায় প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। আজ সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রধান বিচারপতির বার্তার তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত ১১ আগস্ট শপথ গ্রহণ করেন। তিনি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের হারানো আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংস্কারের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। গত ২১ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা এই রোডম্যাপে বিচার বিভাগের অর্থপূর্ণ সংস্কার নিশ্চিতকল্পে বিভিন্ন স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্ট জানানয়, ওই পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা, উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে স্বাধীন কাউন্সিল গঠন, অধস্তন আদালতের বিচারকগণের বদলি ও পদায়ন নীতিমালা প্রণয়নে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া, ষোড়শ সংশোধনীর রিভিউ দরখাস্ত চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল পুনর্গঠিত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, যতদ্রুত সম্ভব বিচার বিভাগ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতি দূর করার মাধ্যমে বিচারপ্রার্থীদের জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতামূলক বিচারসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকল্পে ইতোমধ্যে প্রধান বিচারপতি বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সেবার মানোন্নয়নে প্রধান বিচারপতি বারো দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ণ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রতিমাসে প্রধান বিচারপতির সভাপতিত্বে মনিটরিং সভা আয়োজন করা হচ্ছে। ওই সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাদের নিজ নিজ দপ্তরের সেবা সহজীকরণে গ্রহণ করা পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রতিবেদন দেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নতুন বছরে পর্যায়ক্রমে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের (আপিল বিভাগ ও হাই কোর্ট বিভাগ) বিচারিক কার্যক্রম কাগজমুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ২ জানুয়ারি থেকেই একটি কোম্পানি সংক্রান্ত বেঞ্চে এই সম্পূর্ণ কাগজমুক্ত কার্যক্রম শুরু করা হবে। এ লক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়ন ও উদ্ভাবনে একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্মের প্রস্তুত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলা আদালতেও কাগজমুক্ত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।

বাংলাস্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে


প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ